জাতীয় গ্রন্থ গীতার আসল পরীচয় আগে জেনে নিলে ভালো হয়

১৭৭৫ সালের আগে # গীতা নামে কোন মুদ্রিত
বই ছিল না। মহাভারতের অংশ নিয়ে পৃথক
গ্রন্থ হিসেবে গীতার উদ্ভবের পুরো কৃতিত্ব
ওয়ারেন হেস্টিংসের। অজস্র পৃষ্ঠা থেকে ঝাড়াই
বাছাই করে তাঁর সম্পাদনায় জন্মানো বইটিই
গীতা! প্রথমে নামটা অবশ্য গীতা ছিল না ।
গীতা নামকরণ হয়েছে এরও কিছু পরে।
অবাক হলেন? ইতিহাস বড় নির্মম।
অষ্টাদশ শতক, ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির
শাসন চলছে। কলকাতা ও বারাণসীর ঘিঞ্জি
মহল্লায় তখন ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির কেরানি
চার্লস উইলকিন্স অনুবাদ করেছে মহাভারত ।
সে গভর্নর জেনারেল হেস্টিংসকে খসড়া
পাণ্ডুলিপিটি পড়তে দেয়। কৃষ্ণ ও অর্জুনের
কথোপকথনটি আলাদা করে নেয় হেস্টিংস ।
তার পরই সে ১৭৭৪ সালের ৪ অক্টোবর
কোম্পানির চেয়ারম্যান ন্যাথানিয়েল স্মিথকে
চিঠি লিখে। সেই চিঠিতে সে কোম্পানির
চেয়ারম্যানকে অনুরোধ করে লেখে,
"কোম্পানির অর্থ- দাক্ষিণ্যে এই বই মুদ্রিত
হওয়া উচিত"। পরের বছরই কোম্পানির
খরচে লন্ডনে উইলকিন্সের ‘Dialogues of
Krishna and Arjoon in Eighteen Lectures with Notes’
বইয়ের প্রকাশ ।
সংস্কৃত থেকে ইংরেজিতে অনূদিত প্রথম বই।
বিদেশি শাসকের উদারতা ও খ্রিস্টধর্মের সঙ্গে
হুবহু মিলে যাওয়ার কারণে গীতার জন্ম ।
গীতাকে পৃথক ও স্বতন্ত্র ধর্মগ্রন্থ হিসেবে
হিন্দুরা
মানা শুরু করেছে ১৭৭৫ এর পরে, আগে নয়
কোনভাবেই ।
(পুনশ্চঃ রেফারেন্স ছাড়া আমি একটি বর্ণও
বানিয়ে লিখিনি । প্রথম রেফারেন্স
"আনন্দবাজার" পত্রিকায় প্রকাশিত প্রবন্ধ ।
লিঙ্ক http://bit.ly/1zV2jWp ।
সম্পুরক রেফারেন্স

Post a Comment

কেমন লেগেছে পোস্টি? কমেন্টে জানান
website এ ১০ হাজার ++ বই আপলোড করা আছে,
Download কোনো সমস্যা হলে দ্রুত আমাকে কমেন্ট জানান, or msashohayeb12@gmail.com
করুন

Previous Next

সার্চ করুন ইচ্ছেমতো

Search results

نموذج الاتصال