ইসলামই মানব জাতির জন্য মহান আল্লাহ তা’আলার মনোনীত একমাত্র ধর্ম। আর সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ ব্যক্তিত্ব সর্বশেষ রাসূল হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ)-এর মাধ্যমেই এ ধর্মকে পৃথিবীতে প্রেরণ করা হয়েছিলো। এটা সর্বজন বিদিত যে, ইসলামের আবির্ভাবের পর থেকেই যুগে যুগে অমুসলিমরা এ শাশ্বত দীন এবং এর প্রবর্তক মুহাম্মাদ (সা)-এর বিরুদ্ধে নানাভাবে বিরোধীতা করে আসছে।
শুধু বিরোধীতা করেই ক্ষান্ত হয়নি, বরং ইসলামের দাওয়াহ বা প্রচার যেনো বাধাগ্রস্থ হয় সেজন্য আমাদের শিক্ষাব্যবস্থাকে ধ্বংস করার সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়েছে। এরই ফলস্বরুপ এই উপমহাদেশে খ্রিষ্টান মিশনারীরা খ্রিষ্ট মতবাদ প্রচার করা শুরু করে। এরা সাধারণ মুসলিমদের ধর্মান্তরিত করার উদ্দেশ্যে পুস্তক-পুস্তিকা এবং সভা-সমিতির মাধ্যমে জোর তৎপরতা চালাতে থাকে।
খ্রিস্টান মিশনারীরা ধর্মনিরপেক্ষতার নামে মূল শিক্ষা ব্যবস্থা থেকে ইসলামী শিক্ষা অপসারণ, ইংরেজীকে রাষ্ট্রীয় ভাষার মর্যাদা দেয়া, ইতিহাস দর্শন ইত্যাদি বিষয়ে ইসলাম বিরোদী বিকৃত তথ্য উপস্থাপন এবং গোলাম আহমদ কাদিয়ানী (ভন্ডনবী) ও অন্যান্য ভন্ড ধর্মপ্রচারককে সাহায্য করে ইসলামের শিক্ষাকে বিকৃত করার অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়। সর্বোপরী ইসলাম, কুরআন মাজীদ ও মহাবনী (সাঃ)-এর কুৎসা রটনা করে বাংলা উর্দু-ভারসী ভাষায় ছাপিয়ে সাধারণ মুসলিমদের মাঝে ছড়িয়ে দেয়। এরই সংগে খ্রিস্ট ধর্মীয় প্রচারক মিঃ কার্ল গোটালেব ফান্ডার ১৮২৯ সালে খ্রিষ্টান পাদ্রীদের গতানুগতিক মিথ্যাচার, তথ্যবিকৃতি, অপপ্রচার ও বিষোদগার সম্বলিত মীযানুল হক (Scale of Truth) নামক একটি পুস্ত রচনা করেন ইসলাম ও মুসলিমদের বিরুদ্ধে চতুর্মুখী আক্রমণ পরিচালনা করেন। এটি বিভিন্ন ভাষায় অনুবাদ করে প্রচারণা চালাতে থাকে। এমনকি তারা এও দাবি করতে থাকেন যে, এ পুস্তকের যুক্তিগুলো খন্ডন করার সাধ্য কোন মুসলমান আলিমের নেই।
মুসলিমদরে এ দুর্দিনে এ উপমহাদেশে একজন বিশিষ্ট আলিম বহু ধর্মতত্ত্ববিদ আল্লামা রাহমাতুল্লাহ কীরানবী (রহ) খ্রিষ্টানদের সাথে বিতর্কে লিপ্ত হন এবং সেই সাথে দুই খন্ডে সমাপ্ত “ইযহারুল হক্ব” শীর্ষক পুস্তকটি মীযানুল হক এর জবাবে লিখেন। এ পুস্তকে পাদ্রীদের অপপ্রচারের জবাব বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বাইবেলের উদ্ধৃতি দিয়েই দেয়া হয়েছে।
অধুনা মিশনারীর নামে মুসলিমদের খ্রিষ্টানীকরণ এর ফিতনা আরো জোরদার হয়েছে। এ বিষয়ে বাংলাভাষী মুসলিমগণ যাতে খ্রিস্টান ধর্মপ্রচারকদের বিভ্রান্তিকর মিথ্যা অপপ্রচারের স্বরুপ বাইবেলের উদ্ধৃতি থেকেই অনুধাবন করতে সক্ষম হয় সেজন্যই এই বইয়ের প্রকাশনা।
এটি অনুবাদ করেছেন ড. খোন্দকার আবদুল্লাহ জাহাঙ্গীর। এটি সম্পাদনা করেছেন ইসলামী বিশ্বকোষ বিভাগের সাবেক পরিচালক আবু সাঈদ মুহাম্মাদ ওমর আলী। এটি প্রকাশ করেছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ।
ডাউনলোড: