রমজান মাসের জাল ও দুর্বল হাদিস --৩

পাবলিশারঃ ইসলাম হাউস / গ্রন্থঃ রমযান বিষয়ে জাল ও দুর্বল হাদিসসমূহ / অধ্যায়ঃ ১/ বিবিধ হাদিসসমূহ
হাদিস নম্বরঃ ৪ | 4 | ٤

.
( صوموا تصحوا ) حديث ضعيف .
<صلى الله عليه وسلمm>“সওম পালন কর সুস্থ থাক” হাদিসটি দুর্বল”।
দেখুন: “তাখরিজুল ইহইয়া” লিল ইরাকি: (৩/৭৫), “আল-কামেল ফি দুয়াফায়ির রিজাল” লি ইবনু আদি: (২/৩৫৭), “কিতাবুশ সাজারাহ ফিল আহাদিসিল মুশতাহেরাহ” লি ইবনু তুলুন: (১/৪৭৯), “আল-ফাওয়েদুল মাজমুআহ ফিল আহাদিসিল মাওদুয়াহ” লিশ শাওকানি: (১/২৫৯), “মাকাসিদুল হাসানাহ” লিস সাখাভি: (১/৫৪৯), “কাশফুল খাফা” লিল আজুলুনি: (২/৫৩৯), “সিলসিলাতিল আহাদিসুস দায়িফা ওয়াল মাওদুয়াহ” লিল আলবানি: (১/৪২০)


হাদিসের মানঃ  যঈফ (Dai'f)
-------------------------------

------------------------------


পাবলিশারঃ ইসলাম হাউস / গ্রন্থঃ রমযান বিষয়ে জাল ও দুর্বল হাদিসসমূহ / অধ্যায়ঃ ১/ বিবিধ হাদিসসমূহ
হাদিস নম্বরঃ ৫ | 5 | ۵


( إن لله عند كل فطر عتقاء من النار ) حديث ضعيف .
“প্রত্যেক ইফতারের সময় জাহান্নাম থেকে আল্লাহর কিছু মুক্তি প্রাপ্ত বান্দা থাকে”। হাদিসটি দুর্বল।
দেখুন: “তানজিহুশ শারিয়াহ” লিল কিনানি: (২/১৫৫), “আল-ফাওয়াদুল মাজমুআহ ফিল আহাদিসিল মাওদুয়াহ” লিশ শাওকানি: (১/২৫৭), “কাশফুল ইলাহি আন শাদিদিদ দায়িফ ওয়াল মাওদু ওয়াল ওয়াহি” লিত তারাবুলসি: (১২/২৩০), “জাখিরাতুল হিফাজ” লিল কায়সারানি: (২/৯৫৬), “শুআবূল ঈমান” লিল বায়হাকি: (৩/৩০৪), “আল-কামেল ফি দুয়াফায়ির রিজাল” লি ইবনু আদি: (২/৪৫৫)


হাদিসের মানঃ  যঈফ (Dai'f)
.
--------------------------
--------------
.

পাবলিশারঃ ইসলাম হাউস / গ্রন্থঃ রমযান বিষয়ে জাল ও দুর্বল হাদিসসমূহ / অধ্যায়ঃ ১/ বিবিধ হাদিসসমূহ
হাদিস নম্বরঃ ৬ | 6 | ٦





( لو يعلم العباد مافي رمضان لتمنت أمتي أن يكون رمضان السنة كلها ، إن الجنة لتتزين لرمضان من رأس الحول إلى الحول......الخ )
<صلى الله عليه وسلمm>“বান্দারা যদি জানত যে, রমযানে কি রয়েছে, তাহলে তারা আশা করত পুরো বছর যেন রমযান হয়, নিশ্চয় জান্নাতকে বছরের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত রমযানের জন্য সুসজ্জিত করা হয়...”। হাদিসটি দুর্বল।
দেখুন: “আল-মাওদুয়াত” লি ইবনু জাওজি: (২/১৮৮), “তানজিহুশ শারিয়াহ” লিল কিনানি: (২/১৫৩) “আল-ফাওয়াদুল মাজমুআহ ফিল আহাদিসিল মাওদুয়াহ” লিশ শাওকানি: (১/২৫৪), “মাজমাউজ জাওয়ায়েদ” লিল হায়সামি: (৩/১৪১)
অনুরূপ আরেকটি হাদিস:
( إن الجنة لتزخرف وتنجد من الحول إلى الحول لدخول رمضان فتقول الحور العين : يا رب ، اجعل لنا في هذا الشهر من عبادك أزواجًا )
নিশ্চয় জান্নাত এক বছরের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত রমযান আগমনের জন্য সজ্জিত ও পরিপাটি করা হয়। জান্নাতী হুররা বলে: হে আল্লাহ এ মাসে তোমার বান্দাদের থেকে আমাদের জন্য স্বামী নির্বাচন কর”। তাবরানি “আওসাত” ও “কাবির” গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন, এ হাদিসের সনদে ওলিদ ইবনুল ওলিদ আল-কালানাসি বিদ্যমান, সে দুর্বল।


হাদিসের মানঃ  যঈফ (Dai'f)
.
------------------------------
------------------------------
.

পাবলিশারঃ ইসলাম হাউস / গ্রন্থঃ রমযান বিষয়ে জাল ও দুর্বল হাদিসসমূহ / অধ্যায়ঃ ১/ বিবিধ হাদিসসমূহ
হাদিস নম্বরঃ ৭ | 7 | ۷


সাত.
أن النبي صلى الله عليه و سلم كان يقول عند الإفطار : ( اللهم لك صمت و على رزقك أفطرت ) حديث ضعيف
“নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রত্যেক ইফতারের সময় বলত: হে আল্লাহ আপনার জন্য সওম পালন করছি এবং আপনার রিযকের দ্বারাই ইফতার করছি”। হাদিসটি দুর্বল।
দেখুন: “খুলাসাতুল বাদরুল মুনির” লি ইবনুল মুলাক্কিন: (১/৩২৭), হাদিস নং: (১১২৬), “তালখিসুল হাবির” লিল হাফেজ ইবনু হাজার: (২/২০২), হাদিস নং: (৯১১), “আল-আযকার” লিন নববী: (পৃ.১৭২), “মাজমাউজ জাওয়ায়েদ” লিল হায়সামি: (৩/১৫৬), “দায়িফুল জামে” লিল আলবানি, হাদিস নং: (৪৩৪৯)


হাদিসের মানঃ  যঈফ (Dai'f)

--------------------------------
----------------------------
.

পাবলিশারঃ ইসলাম হাউস / গ্রন্থঃ রমযান বিষয়ে জাল ও দুর্বল হাদিসসমূহ / অধ্যায়ঃ ১/ বিবিধ হাদিসসমূহ
হাদিস নম্বরঃ ৮ | 8 | ۸


আট.
‏جَاءَ أَعْرَابِيٌّ إِلَى النَّبِيِّ ‏‏صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ‏‏فَقَالَ : إِنِّي رَأَيْتُ الْهِلَال ،َ قَالَ :‏ ‏أَتَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ أَتَشْهَدُ أَنَّ ‏‏مُحَمَّدًا ‏‏رَسُولُ اللَّهِ ، قَالَ : نَعَمْ ، قَالَ : يَا ‏‏بِلَالُ ‏‏أَذِّنْ ‏‏فِي النَّاسِ أَنْ يَصُومُوا غَدًا .
<صلى الله عليه وسلمm>“এক বেদুঈন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট এসে বলে: আমি চাঁদ দেখেছি, তিনি বললেন: তুমি কি সাক্ষ্য দাও যে, আল্লাহ ব্যতীত কোন ইলাহ নেই, মুহাম্মদ আল্লাহর রাসূল? সে বলল: হ্যাঁ, তিনি বললেন: হে বেলাল মানুষকে জানিয়ে দাও, তারা যেন আগামী কাল সওম পালন করে”।
আবূ দাউদ: (২৩৪০), তিরমিযী: (৬৯১), নাসায়ি ফিল কুবরা: (২৪৩৩), (২৪৩৪), (২৪৩৫) (২৪৩৬), ইবনু মাজাহ: (১৬৫২), তারা হাদিসটি বর্ণনা করেন সাম্মাক ইবনু হারব সূত্রে, সে ইকরিমা থেকে, সে ইবনু আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে।
সাম্মাক ইবনু হারব সূত্রে বর্ণিত ইকরিমার হাদিসে ইজতেরাব রয়েছে, কখনো সে ইত্তেসাল সনদে বর্ণনা করে, কখনো মুরসাল সনদে।
যারা মুরসাল বর্ণনাকে গ্রহণ করেছেন তাদের মধ্যে ইমাম তিরমিযি অন্যতম, তিনি বলেন: ইবনু আব্বাসের হাদিসে ইখতিলাফ রয়েছে, সুফইয়ান সাওরি প্রমুখগণ সাম্মাক সূত্রে ইকরিমা থেকে, সে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে মুরসাল সনদে বর্ণনা করেছেন। সাম্মাকের অধিকাংশ ছাত্র সাম্মাকের সনদে ইকরিমা থেকে, সে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে মুরসাল বর্ণনা করেন।
নাসায়ি তার কুবরা: (২৪৩৫) ও (২৪৩৬) গ্রন্থে বলেন: হাদিসটি মুরসাল।
হাফেজ ইবনু হাজার “তালখিস” গ্রন্থে বলেছেন: মূল বর্ণনাকারী থেকে সাম্মাক যখন একা বর্ণনা করবে, সেটা দলিল হিসেবে গ্রহণযোগ্য নয়।
শায়খ আলবানি “ইরওয়াউল গালিল”: (৯০৭) গ্রন্থে হাদিসটি দুর্বল বলেছেন।
মুরসাল: তাবেয়ি ও নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মধ্যকার সূত্র, অর্থাৎ সাহাবি যে সনদে উল্লেখ থাকে না, হাদিস বিশারদদের নিকট তা মুরসাল হিসেবে পরিচিত। মুরসাল দুর্বল হাদিসের এক প্রকার। ইমাম তিরিমিযি বলেন: মুরসাল হাদিস অধিকাংশ আলেমের নিকট বিশুদ্ধ নয়, অর্থাৎ দলিল হিসেবে গ্রহণযোগ্য নয়।
মাসআলা: নেককার, সত্যবাদী ও মুসলিম একজন ব্যক্তির সাক্ষীর ভিত্তিতে ইমাম বা সরকার সওমের ঘোষণা দিতে পারবে, কিন্তু সওম ভঙ্গ বা শাওয়ালের চাঁদ দেখার ক্ষেত্রে দুইজন ব্যক্তির সাক্ষী অপরিহার্য। ইমাম আবূ হানিফা, আহমদ ও শাফেঈর এক ফতোয়া অনুরূপ। ইমাম মালেক বলেছেন রমযানের চাঁদের জন্যও দুইজন সাক্ষী জরুরী। দেখুন: তুহফাতুল আহওয়াজি: (পৃ.৩০৪), হাদিস নং: (৬৯১), হাদিস যদিও দুর্বল, কিন্তু আহলে ইলমদের আমল অনুরূপই।


হাদিসের মানঃ  যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ 

---------------------------------------
-------------

Post a Comment

কেমন লেগেছে পোস্টি? কমেন্টে জানান
website এ ১০ হাজার ++ বই আপলোড করা আছে,
Download কোনো সমস্যা হলে দ্রুত আমাকে কমেন্ট জানান, or msashohayeb12@gmail.com
করুন

Previous Next

সার্চ করুন ইচ্ছেমতো

Search results

نموذج الاتصال