বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রেরণা পেয়েই পবিত্র ধর্ম ইসলাম গ্রহণ করেছেন জাপানি তরুণ কিয়োচিরো সুগিমোটো।জাপানে ইসলাম প্রচার ও প্রসারে নিরলস পরিশ্রম এবং অসামান্য অবদান রেখে চলেছেন তিনি। বর্তমানে তিনি একজন জাপানি প্রাকটিসিং মুসলিম ও ইসলামের খ্যাতনামা দাঈ।
কিয়োচিরো সুগিমোটো প্রকৃতপক্ষে একজন সেকি, জিফুর অধিবাসী। জাপানের সামুরাই সোর্ড তৈরির জন্য বিখ্যাত শহর জিফুর অধিবাসী হলেওবর্তমানে তিনি জাপানের রাজধানী টোকিওর একটি আবাসিক এলাকায় বসবাস করেন।-ক্লোজওয়ে
তিনি ইসলাম গ্রহণের অনুপ্রেরণা ও স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বলেন, ১৯৯৬ এর দিকে আমি বাংলাদেশে যাই।বাংলাদেশে মুসলিমদের দয়া ও হৃদয়গ্রাহী আন্তরিকতায় আমাকে মুগ্ধ করে। ইসলামের প্রতি আকর্ষণ বাড়িয়ে দেয়।বাংলাদেশের মুসলমানদের জীবনাচার থেকে ইসলামি শিক্ষার প্রতি ইতিবাচক ধারণা লাভ করি।
বাংলাদেশের মুসলমানদের আন্তরিকতা ও ইসলামের সুমহান শিক্ষার ইতিবাচক ধারণা লাভের পর কিছুদিন জাপানিজ ভাষায় অনূদিত কুরআন অধ্যয়ন শুরু করেন কিয়াচিরো সুগিমোটো।
জাপানি ভাষায় অনূদিত কুরআন পড়ে ইসলাম সম্পর্কে অনুপ্রেরণা লাভ করেন তিনি। সেখানে আল্লাহ তাআলা ও পরকালের ব্যাপারে সুস্পষ্ট ধারণা পান। সুরা কাসাসের ৮৮ নং আয়াতটিকে নিজের মনে গেথে নেন।
সেখানে বলা হয়েছে, আল্লাহর সঙ্গে অন্য কোনো ইলাহকে ডেকো না, তিনি ছাড়া সত্যিকারের কোনো ইলাহ নেই, তাঁর (সত্তা) ছাড়া সব কিছুই ধ্বংসশীল। বিধান তাঁরই আর তাঁর কাছেই তোমাদের ফিরে যেতে হবে।’ এ আয়াতে অনুপ্রাণিত হয়েই তিনি ১৯৯৭ সালে ইসলামের সুমহান পতাকাতলে আশ্রয় নেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা আল্লাহকে অমান্য করি, উপেক্ষা করি। অথচ একটি সময় সব কিছু শেষ হয়ে যাবে। আমাদের তার সামনেই দাঁড়াতে হবে।’ দুনিয়ার সব কিছু ধ্বংস হয়ে যাওয়া
আবার তার কাছে ফিরে যাওয়া এবং তার সামনে দাঁড়ানোর বিষয়টিই আমার অন্তরে এক আলোড়ন সৃষ্টি করে। যে প্রতিক্রিয়ায় আমি ইসলাম গ্রহণ করতে বাধ্য হই। কিয়োচিরো সুগিমোটো বর্তমানে ইসলামের একজন দাঈ হিসেবে কাজ করছেন।
১৯৯৭ সালে ইসলাম গ্রহণের মধ্য দিয়ে তিনি ইসলামের একজন খ্যাতনামা দাঈ হিসেবে আবির্ভূত হন। কিয়োচিরো সুগিমোটোকে আল্লাহ তাআলা দ্বীনের দাঈ হিসেবে কবুল করুন। মুসলিম উম্মাহকে ইসলামের উন্নত চরিত্র নিজেদের মধ্যে বাস্তবায়ন করার তাওফিক দান করুন।
আন্তর্জাতিক ইসলামি শিক্ষা ও গবেষণা সংস্থা ইরার একজন সদস্য। অবাক করার বিষয় হলো, ১৯৯৬ সালে বাংলাদেশের মুসলমানদের দয়া ও হৃদয়গ্রাহী আন্তরিকতায় ইসলামের অনুপ্রাণিত হয়ে কুরআন অধ্যয়ন শুরু করেন। আমিন।
সেখানে বলা হয়েছে, আল্লাহর সঙ্গে অন্য কোনো ইলাহকে ডেকো না, তিনি ছাড়া সত্যিকারের কোনো ইলাহ নেই, তাঁর (সত্তা) ছাড়া সব কিছুই ধ্বংসশীল। বিধান তাঁরই আর তাঁর কাছেই তোমাদের ফিরে যেতে হবে।’ এ আয়াতে অনুপ্রাণিত হয়েই তিনি ১৯৯৭ সালে ইসলামের সুমহান পতাকাতলে আশ্রয় নেন।