চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে এক হিন্দু পরিবারের সবাই ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছে। মঙ্গলবার নোটারি পাবলিকের কার্যালয়, চুয়াডাঙ্গা থেকে এফিডেভিটের মাধ্যমে স্বপরিবারে নাম ও ধর্ম পরিবর্তন করেন তারা। এরপর জীবননগর সাব. রেজিস্ট্রার অফিসের মুহুরি মাওলানা আব্দুল ওয়াজেদের কাছে কলেমা পড়ে ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত হন ওই পরিবারের সদস্যরা।
ধর্মান্তরিত হওয়াই নিমাই দাসের নাম পরিবর্তন করে রাখা হয়েছে ইব্রাহিম খলিল, স্ত্রী আরতীর নাম আয়েশা খাতুন, বড় ছেলে শ্রী আনন্দ দাসের নাম হাসান আলী, মেয়ে শ্রীমতি শিল্পী দাসের নাম সুমাইয়া আক্তার ও এক বছর বয়সের ছোট ছেলেটি শ্রী কৃষ্ণ দাসের নাম রাখা হয় হুসাইন আলী। এখন থেকে তারা ইসলামের সকল নিয়ম-কানুন পালন করবেন বলে জানিয়েছেন।
এমনকি রোজা রাখার জন্যও তারা মানসিকভাবে প্রস্তুত। ইসলাম ধর্ম গ্রহণের পর তারা নিজ বাড়িতেই অবস্থান করছেন।
নওমুসলিম ইব্রাহিম খলিল বলেন, ইসলাম ধর্মের ওপর আমার অনেক আগে থেকে টান রয়েছে। এরপর থেকে ইসলাম ধর্মের বিভিন্ন ধরণের বই পুস্তক পড়ে ধর্মের প্রতিপালন দেখে ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে আরো আগ্রহ সৃষ্টি হয়। যে কারণে পৃথিবীতে ইসলাম ধর্ম একমাত্র সঠিক ধর্ম মেনে আমি স্বপরিবারে স্বেচ্ছায় হিন্দু ধর্ম থেকে ইসলাম ধর্ম পালনের সিদ্ধান্ত নিই। আমার স্ত্রী ও মেয়ে দুজনেই পর্দা পছন্দ করে। সবার আন্তরিক সহযোগিতায় আল্লাহর রহমতে নিরাপদে ও ভালো আছি। ইসলাম ধর্ম, নামাজ, রোজা পালনের জন্য মেম্বর সাহেবসহ প্রতিবেশিরা সহযোগিতা করেছেন।
এমনকি রোজা রাখার জন্যও তারা মানসিকভাবে প্রস্তুত। ইসলাম ধর্ম গ্রহণের পর তারা নিজ বাড়িতেই অবস্থান করছেন।
নওমুসলিম ইব্রাহিম খলিল বলেন, ইসলাম ধর্মের ওপর আমার অনেক আগে থেকে টান রয়েছে। এরপর থেকে ইসলাম ধর্মের বিভিন্ন ধরণের বই পুস্তক পড়ে ধর্মের প্রতিপালন দেখে ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে আরো আগ্রহ সৃষ্টি হয়। যে কারণে পৃথিবীতে ইসলাম ধর্ম একমাত্র সঠিক ধর্ম মেনে আমি স্বপরিবারে স্বেচ্ছায় হিন্দু ধর্ম থেকে ইসলাম ধর্ম পালনের সিদ্ধান্ত নিই। আমার স্ত্রী ও মেয়ে দুজনেই পর্দা পছন্দ করে। সবার আন্তরিক সহযোগিতায় আল্লাহর রহমতে নিরাপদে ও ভালো আছি। ইসলাম ধর্ম, নামাজ, রোজা পালনের জন্য মেম্বর সাহেবসহ প্রতিবেশিরা সহযোগিতা করেছেন।
মাওলানা আব্দুল ওয়াজেদ জানান, নওমুসলিম ইব্রাহিম খলিল ব্যক্তিগত জীবনে ভালো একজন মানুষ হিসেবেই পরিচিত। তিনি ইসলাম ধর্ম গ্রহণের ইচ্ছার বিষয়ে স্থানীয় মুসলিমদের ও মেম্বরের কাছে জানালে সকলেই তাকে সাহায্য করেন। বিষয়টি জানার পর যতটুকু সম্ভব তাদের পাশে থাকতে চেষ্টা করেছি। এফিডেভিটের পর তারা স্থানীয় মেম্বর ও স্থানীয় ব্যক্তিবর্গের সামনে সপরিবারে কালিমা ত্বায়্যীবা ও কালীমা শাহাদত পাঠ করেন। আল্লাহ তাদের পরিবারকে কবুল করুক।
সীমান্ত ইউনিয়নের হরিহরনগর গ্রামের মেম্বার আরজান হোসেন বলেন, ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করার আগ্রহ প্রকাশের পর থেকে তিনি তাদেরকে সহযোগিতা করে আসছেন। প্রায় এক মাস আগে তার কাছে ইসলাম ধর্ম গ্রহণের ইচ্ছার কথা জানান। এলাকার মানুষ তাদের নিরাপদ বসবাসের ব্যাপারে সচেতন। সবার সহযোগিতামূলক মনোভাব রয়েছে।
সূত্রঃ- নয়াদিগন্ত