বই: মহা প্রলয়
কুরআন-হাদিসের আলোকে কেয়ামতের ছোট বড় নিদর্শন-সম্বলিত প্রথম সচিত্র গ্রন্থ “মহা প্রলয়”।
সম্প্রতি কেয়ামত সম্পর্কিত বিষয়গুলো নিয়ে অনেক দ্বিধাদন্দ্বের সৃষ্টি হয়েছে। বিভিন্ন লাইব্রেরী ও প্রসিদ্ধ ওয়েবসাইটগুলোতে কেয়ামতের নিদর্শন সম্বলিত বাণীগুলো নিয়ে অনেক জল্পনা-কল্পনা ও ভবিষ্যত ঘটনা প্রবাহ নিয়ে প্রচুর উপকথা প্রচারিত হচ্ছে। মুসলমানদের সামাজিক পরিস্থিতি যতই দুরবস্থার দিকে যাচ্ছে, সাধারণ মানুষ ততই উত্তরণের পথ খুঁজতে মনোনিবেশ করছে। এর-ই ফলে কখনো –“ইমাম মাহদীর আবির্ভাব হয়ে গেছে”, কখনো “ইহুদী খ্রিস্টানদের বিরুদ্ধে বহুল প্রতীক্ষিত যুদ্ধ কাছিয়ে গেছে”, কখনো “প্রাচ্যে বা প্রাশ্চাত্যে বড় ধরণের ভূমিধ্বস ঘটেছে” ইত্যাদি শোনা যাচ্ছে। কেও কেও তো এও দাবি করে ঈসা বিন মারিয়াম (আ) এর আবির্ভাব হয়ে গেছে। এসব দ্বিধাদন্দ্ব দূর করার লক্ষ্যে মহা প্রলয় বইটিতে কুরআন ও হাদিসের আলোকে কেয়ামতের ছোট বড় নিদর্শনগুলো একত্রিত করে মুসলিম বিশ্বকে এক কথায় কুরআন ও হাদিস নিয়ে গবেষণার আহ্বান করা হয়েছে।
এই বইয়ের বিশেষত্ব-
- কেয়ামতের নির্দেশাবলি চিত্রসহ বর্ণিত হয়েছে।
- সম্পুর্ণ কুরআন ও হাদিসের ভিত্তিতে বইটি রচিত হয়েছে।
- নির্ভরযোগ্য সুপ্রসিদ্ধ উলামায়ে কেরামের সিদ্ধান্ত এ ব্যাপারে গ্রহণযোগ্য বিবেচিত হয়েছে।
- জন সাধারণের বিবেক বুঝে হাদিস বর্ননা করা হয়েছে।
- সহজ ভাবে পড়ার জন্যে বইটিতে Interactive Link অ্যাড করা হয়েছে।
সচিত্র আরবী বইটি মধ্যপ্রাচ্যে অনেক প্রসিদ্ধি লাভ করেছে। এ্যারাবিয়ানদের মধ্যে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। কেয়ামতের উপর সচিত্র অনূদিত এই বাংলা বইটি ডিজাইন ও সম্পাদনার ক্ষেত্রে মূল বইকেও ছাড়িয়ে গেছে। বিশেষত কুরআন ও হাদিসের গন্ডিতে থাকায় বিশুদ্ধতার ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই।
মূল ও বিন্যাস: ড. মুহাম্মদ বিন আব্দুর রহমান আরিফী (সদস্য, আন্তর্জাতিক উচ্চতর দাওয়াত বিভাগ; উসতায, কিং সাউদ ইউনিভার্সিটি, রিয়াদ, সৌদি আরব)। (২০১০)
ভাষান্তর, ব্যবস্থাপনা ও সম্পাদনা: উমাইর লুৎফর রহমান। (২০১১)
পৃষ্ঠা সংখ্যা: ৩৩৬