বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম ।
আরতুগ্রুল গাজীর পরিচয়
ভিডিও লিংক একদম নিচে দেখুন 👇
কোনো দরনের অশ্লিলতা নেই 😍আর্তুগ্রুল গাজি
আরতুগ্রুল গাজীর পরিচয়
নাম আরতুগ্রুল গাজী।তিনি সুলেইমান শাহের কনিষ্ঠ পুত্র এবং একজন সাহসী পুরুষ ও যোদ্ধা।তার মাতার নাম হায়মা হাতুন।তার জন্ম স্থান ও জন্ম সন সম্পর্কে জানা যায়নি।তুরষ্কের বিপ্লবী ইতিহাসে আজীবন এ মহান বীরের নাম সোনালী অক্ষর দিয়ে লেখা থাকবে।দাম্পত্য জীবনে তার স্ত্রী হয়ে আসেন সেলজুক সাম্রাজ্যের শাহজাদা নোমানের কন্যা হালিমা হাতুন।আরতুগ্রুল গাজী বাইজেন্টাইনদের বিরুদ্ধে সেলজুকদের সহকারী হওয়ার ফলশ্রুতিতে তার বাবা সুলেইমান শাহের মৃত্যৃর পর তিনি ১২৩০ সালে তুর্কিদের কায়ি গোত্রের নেতৃত্ব লাভ করেন।সেলজুক সুলতান প্রথম কায়কোবাদ তাকে বর্তমান আঙ্কারায় বাইজেন্টাইন সীমান্তের পার্শ্বে কারাকা ডাগের ভূমি প্রদান করেন।যে ভূমি ছিল সেলজুকদের পাওয়ার কথা।অনেকেই বলেন আরতুগ্রুল গাজীকে সেলজুক সুলতান কায়কোবাদ এ ভূমি প্রদানের কারণ ছিল যাতে আরতুগ্রুল গাজী বাইজেন্টাইন, মঙ্গোলিায়ন বা অন্যান্য প্রতিপক্ষের কাছ থেকে আসা হামলা গুলো প্রতিহত করতে পারেন।১২৩১ সালে আরতুগ্রুল গাজী সাগুত গ্রাম ও একে ঘিরে থাকা কিছু জায়গা জয় করেছিলেন।মূলত আরতুগ্রুল গাজী উসমানীয় সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠার ভিত্তি স্থাপন করন।তার তিন জন পুত্র সন্তান ছিল।যারা হচ্ছেন গুন্দুজ বে, সারুবাতু সাভসি বে এবং উসমান গাজী।উসমানীয় সাম্রাজ্যের ভিত্তি স্থাপক আরতুগ্রুল গাজী তুরষ্কের বিলিকি প্রদেশের সোগুত গ্রামে ১২৮০ খ্রীঃ মৃত্যু বরণ করেন।তাকে সেখানেই সমাহিত করা হয়।
আরতুগ্রুল গাজীর তৃতীয় পুত্র উসমান গাজী ই উসমানীয় সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা।উসমান গাজী সেলজুক রাজবংশের বংশধর ছিলেন যা ইতিহাসে আব্বাসী খিলাফত নামে পরিচিত।উসমানের মাতা হালিমে সুলতানা ছিলেন সেলজুক শাহজাদা নুমান এর মেয়ে অর্থাৎ আর্তুগুলের স্ত্রী তাই তিনি সেলজুক রাজবংশের জামাতা।আর তার কনিষ্ঠ সন্তান উসমান গাজী সেই হিসেবে তিনি সেলজুক রাজবংশের নাতি।সেলজুক রাজবংশ মঙ্গোল নেতা হালাকু খান ও অন্যান্য শত্রুদের দ্বারা বিলুপ্ত হয়।উসমান ১২৯৯ সালে সাগুত গ্রামকে উসমানীয় সাম্রাজ্যের প্রথম রাজধানীতে পরিণত করেন।