বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম; ইমাম বুখারী রহঃ এর লিখিত বই সমূহের pdf ফাইল ডাউনলোড করতে নিচে বইয়ের নামের উপর ক্লিক করুন; তারপর গুগল ড্রাইভে ডাউনলোড চিহ্নের উপর ক্লিক করুন।
- সহীহ বুখারী – ইমাম বুখারী রহঃ
- আল লু-লু ওয়াল মারজান – ইমাম বুখারী রহঃ ও ইমাম মুসলিম রহঃ
- আল-আদুবুল মুফরাদ – ইমাম বুখারী রহঃ
- জুযউ রফইল ইয়াদাঈনঃ জানেন কি, কি পরিমাণ নেকী হতে আপনি বঞ্চিত হচ্ছেন – ইমাম বুখারী রহঃ
- জুযউ রফইল ইয়াদায়ন ফিস সালাত – ইমাম বুখারী রহঃ
- জুযউল কিরআতঃ ইমামের পিছনে পঠনীয় সর্বোত্তম কিরআত – ইমাম বুখারী রহঃ
আসলে ইমাম বুখারীর মূল নাম ইমাম মুহাম্মদ। পিতার নাম ইসমাইল। ডাক নাম আবু আবদুল্লাহ। পূর্বপুরুষ ইরানের অধিবাসী। প্রপিতা মুগীরা ইসমাইল জুফীর হাতে ইসলাম গ্রহণ করেন। ইমাম বুখারী ১৯৪ হিজরীর ১৩ই শাওয়াল জুমার নামাজের পর বুখারায় জন্মগ্রহণ করেন। শৈশবেই তার অদ্ভুত মেধা ও স্মৃতিশক্তি সবাইকে চমৎকৃত করে। দশ বছর বয়স হয়নি তখনই তিনি কয়েক হাজার হাদিস মুখস্ত করে ফেলেন। আর হাদীস মুখস্থ করা কুরআন মুখস্ত করার মতো ব্যাপার নয়। কারণ হাদীসের মধ্যে শুধু মতন’ বা বিষয়বস্তুই নেই, সনদেরও বিরাট সিলসিলা রয়েছে। হাজার হাজার, লক্ষ লক্ষ নাম একটার সাথে আরেকটার পার্থক্যসহ মুখস্ত করা চাট্টিখানি কথা নয়। কিন্তু ইমাম বুখারীর পক্ষে এটাও সম্ভবপর হয়েছিল।
তার ছোটবেলার একটি ঘটনা অত্যন্ত চমকপ্রদ। তখন তিনি দশ বছরের কিশাের। সে যুগের শ্রেষ্ঠ মুহাদ্দিস দাখেলীর শিক্ষায়তনে হাদীসের পাঠ নিচ্ছেন। একদিন দাখেলী একটি হাদীস শুনালেন। সুফিয়ান আবু যুবাইর থেকে এবং তিনি ইবরাহীম থেকে বর্ণনা করেছেন। বুখারী প্রতিবাদ করলেন? আবু যুবাইর ইবরাহীম থেকে বর্ণনা করেননি। দাখেশী তাকে ধমক দিয়ে থামিয়ে দিলেন। তবুও তিনি উস্তাদকে বললেন, মেহেরবাণী করে আপনার বক্তব্যটি একবার মূল পাণ্ডুলিপির সাথে মিলিয়ে দেখুন। অতিরিক্ত জোর দেয়ার কারণে উন্মাদের মনে সংশয় দেখা দিল। তিনি ভিতরে গিয়ে মূল পাণ্ডুলিপি দেখলেন। ফিরে এসে বললেন, তাহলে তুমিই বল সনদ কেমন হবে। বুখারী বললেন: ইবরাহীম থেকে আৰু যুবাইর নয়, আদীর পুত্র যুবাইর বর্ণনা করেছেন। উস্তাদ সংগে সংগেই কলম নিয়ে তার সামনের কপিটি সংশোধন করে নিলেন এবং বললেন, তোমার কথাই ঠিক।