করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে টানা দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা সাধারণ ছুটি গতকাল শনিবার শেষ হয়েছে।
ফলে আজ রবিবার থেকে সব অফিস খুলেছে।
যদিও দেশটিতে সংক্রমণের মাত্রা এখন বেশ উর্ধ্বমুখী। রবিবার সকাল থেকেই অনেকেই কর্মস্থলে গেছেন। সামাজিক দূরত্বের কথা বলা হলেও রাজধানীর বেশ কয়েকটি এলাকায় দেখা গেল গণপরিবহণে লোকজন জড়ো হয়েই উঠছেন। সামাজিক দূরত্বের ধার ধারছেন না। অফিস যেতে হবে এটাই যেন মূখ্য বিষয়। অন্যদিকে গণপরিবহণ কর্তৃপক্ষকে কোনো নিয়ম মানতে দেখা যায়নি।
এরই মধ্যে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ বাস ভাড়া ৮০ শতাংশ বাড়ানোর সুপারিশ করেছে। এর গণপরিবহনের ভাড়া ৬০ শতাংশ বাড়ি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
যুক্তি হিসেবে বলা হয়েছিল, 'বাসগুলো তাদের ধারণ ক্ষমতার অর্ধেক যাত্রী বহন করতে পারবে।
সব অফিস খুলে দিয়ে বাসে অর্ধেক যাত্রী বহন করার এ সিদ্ধান্ত এক ধরণের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করবে বলে আশংকা করছেন অনেকেই। সে আশংকার অনেকটাই যে সত্য সেটা রবিবার সকালে দেখা গেল রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায়। '
মিরপুরের কয়েকটি এলাকায় দেখা গেল বাসগুলো থামিয়ে যাত্রীদের জড়ো করে ওঠাচ্ছে। কোনো সামাজিক দূরত্বের নিয়মের তোয়াক্কাই করছে না। অনেকেই মনে করেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরুর পর থেকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার কথা বলা হলেও সেটি নিশ্চিত করা যায়নি।
যাত্রী কল্যাণ সমিতির মোজাম্মেল হক বলেন, এখন যে ৮০% ভাড়া বৃদ্ধি করা হচ্ছে, সেটি স্বাভাবিক সময়ে কমে আসবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ আছে। যে সঙ্কট বা অজুহাতে দেশে গণপরিবহনের ভাড়া বাড়লে সেটা স্বাভাবিক সময়েও কমানোর কোন নজির নেই। এটা স্বাভাবিক সময়েও কমানোর সক্ষমতা সরকারের থাকবে বলে আমার মনে হয় না।