মানুষের মন জয় করার পদ্ধতিঃ
প্রত্যেকই তার কাংখিতো বস্তু লাভের জন্য নানা কৌশল অবলম্বন করে থাকে। সম্পদের জন্য, যে লালায়িতো সে তা অর্জনের নিমিত্তে ও সমৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন রকমের কলাকৌশল ব্যবহার করে। ব্যবসা বানিজ্য ও প্রবৃদ্ধি অর্জনের বিভিন্ন পদ্ধতি আবিস্কার করতে সর্বদা সচেস্ট থাকে।
স্যাটেলাইট চ্যানেল গুলো দর্শকের মনজয় করার জন্য আধুনিক প্রোগ্রাম ও নতুন নতুন অনুস্ঠান সম্প্রচার করে থাকে।
অনুস্ঠানের উপস্থাপক ও সঞ্চালকদের এমনভাবে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় যাতে যাতে তারা দর্শকদের আকৃস্ট করে তাদেরকে অনুষ্ঠান দেখত আগ্রহী করতে পারেন। একই কথা প্রন্ট মিডিয়া ও বেতারের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।
অনুরুপভাবে পণ্য বা সেবার উৎপাদকরা ক্রেতাদেরকে মন জয় করার জন্য কতরকম পদ্ধতি অবলম্বন করে।
যেসব কলাকৌশলের মাধ্যমে কর্মক্ষেত্রে কাঙ্খিতো উন্নতি করা যায় সেসব কলাকৌশল জান্তে এবং কাজে লাগাতে সবার মধ্যে কম বেশি আগ্রহ দেখা যায়।
মানুষের মন জয় করার জন্য অনেক পদ্ধতিও কলাকৌশল রয়েছে।-
আমার মনে আছে আমি যখন প্রথম বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস করতে যাই, তখন আমার পাশের সিটেই আমার ক্লাসমিট তিনি প্রচন্ড মানুষিক রোগে আক্রান্ত ছিলেন। তার পিতা একজন উচ্চপদস্থ অফিসার ছিলেন। তিনি বিভিন্ন সময় প্রায় দেখি বিশ্ববিদ্যালয়ে আসা-যাওযআর করতেন , যেহেতু তার ছেলে আমার ক্লাসমিট সেই সুবাধে তার সাথে পরিচিতো ছিলো। এরপর প্রায় তার বাসায় যেতাম৷ তাদের বাসাটা ছিলো রাজপ্রাসাদ।
তার পিতার বৈঠকখানায় সবসময় মেহমানদের এতো ভিড় থাকতো যে, সামান্য ফাকা জায়গাও থাকতো না। তারপ্রতি মানুষের এতো ভালোবাসা ও আগ্রহ দেখে সত্যি অবাক হতাম।
কয়েকবছর পর একদিন তাদের বাড়িতে গেলাম। দেখি চুকিরি থেকে অবসর গ্রহন করেছেন তার বাবা।
আমি তার বৈঠকখানায় প্রবেশ করলাম। কামরাটির দিকে তাকালাম। কাসরাটির বর্তমান অবস্থা দেখে আমি আশ্চর্য হলাম। সেখানে পঞ্চাশটির অধিক চেয়ার পড়ে আছে। কিন্তি কামরায় কেউ নেই। বৃদ্ধ সেখানে একাকি বসে টিভিতে বিভিন্ন অনুস্ঠান দেখছেন। একজন সেবক তাকে চা-কফি দিয়ে যাচ্ছ৷ আমি সেখানে তার সংগে কিছুক্ষন বসলাম।
বের হবার পর আমি ভাবতে লাগলাম তিনি যখন চাকুরিতে ছিলেন তখন তার কেমন অবস্থা ছিলো আর বর্তমানে অবস্থা কি তার? আগে কেনো মানুষ তার কাছে আসতো? এখন কেনো আসেনা? কেনো তারা তাকে ভালোবাসতো? কেনো তার বৈঠকখানায় আগের মতো উপচেপড়া ভিড় নেই?
আমি বুঝতে পারলাম তিনি সদাচরন এবং অমায়িক ব্যবহারের মাধ্যমে মানুষের হৃদয়রাজ্যকে জয় করতে পারেনি। মানুষ তার কাছে আসতো তার পদমর্জাদার কারনে। তার চাকুরি, ক্ষমতা, ও প্রভাবের কারনে। ব্যক্তিত্য ও চারিত্রিক গুনের কারনে নয়। আজ যেহেতু তার চাকুরি নেই তাই তার সেই ক্ষমতাও নেই৷ তাই আগের মতো উপচে পড়া ভিড় নেই৷
অবশেসে এতটুকু বিশ্লেষনের পর যা বলতে চাই।
আপনি মানুষের সাথে এমনভাবে আচরন করুন, যেনো তারা ব্যক্তিগতোভাবে আপনাকে ভালোবাসে। তারা যেনো আপনার কথা আপনার হাসি, আপনার বিনম্র আচরনে মুগ্ধ হয়ে আপনাকে ভালোবাসে।