সিগারেটের একটি টানের ধোঁয়ার মধ্যে পনেরো বিলিয়ন বস্তুর ক্ষুদ্র কণা থাকে যার কিছু অংশ মানুষের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। এগুলোর মধ্যে আছে নিকোটিন, মিথাইল এলকোহল, কার্বন মনোঅক্সাইড, ফরমালডিহাইড, আরসেনিক, বেনজোপাইরিন এবং অন্যান্য কতিপয় এসিড।
#নিকোটিন রক্তনালীর আকার সংকুচিত করে যা শরীরে রক্ত প্রবাহ ও অক্সিজেনের প্রবাহে বাধার সৃষ্টি করে। ইহা হৃদস্পন্দন দ্রুততর করে। রক্তনালীর সংকোচন এবং হৃদস্পন্দন বৃদ্ধি রক্তচাপ বৃদ্ধিতে কাজ করে যা হার্ট এ্যাটাকের একটি কারণ।
#বেনজোপাইরিন প্রাণী ও মানুষের মধ্যে শক্তিশালী ক্যান্সার সৃষ্টির অন্যতম এক বাহক।
# আর্সেনিকও ক্যান্সার সৃষ্টিকারী যা তামাক জাতিয় গাছে কীটনাষক হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
# তামাকের মন্ডও ক্যান্সার সৃষ্টিকারী। এটা ফুসফুসের ভিতরে বাদামী আঠালো বস্তুপিন্ড গঠন করে।
# সিগারেটের ধোঁয়ার শুষ্ক প্রভাব শ্বাসনালীর ভিতরে সিলিয়ার কার্যাবলী মন্থর করে দেয় এবং পরিনামে ওইগুলিকে ধ্বংস করে দেয়। চুলের মতো এই জিনিসগুলো সাধারণত ফুসফুস থেকে জীবানু, মিউকাস ও ময়লা অপসারণের জন্য ঝাড়ু হিসেবে কাজ করে।
# তামাকের ধোঁয়াতে বিদ্যমান কার্বন মনোঅক্সাইড লোহিত রক্তকনিকা থেকে অক্সিজেন বের করে দেয়। ধূমপায়ীর রক্তে কার্বন মনোঅক্সাইড এর স্তর অধূমপায়ীদের তুলনায় পাঁচ থেকে পনের গুণ বেশি।
একজন লোক ধূমপান শেষ করার ছয় ঘন্টার মধ্যে কার্বন মনোঅক্সাইড শরীরের ভিতরের অক্সিজেন সরিয়ে রক্তপ্রবাহের মধ্যে অবস্থান করে।
তাছাড়া ধূমপান চোখে জ্বালা ঘটায়, নাকে অস্বস্তি সৃষ্টি করে এবং মনকে অস্থির করে তোলে। অধূমপায়ীর জন্য গন্ধটা প্রায়ই অসহনীয় এবং অনুভূতিতে বিরূপ প্রতিক্রিয়া ঘটাতে পারে।
তাই দেখ, ধূমপান কে যতটুকু মোহনীয় হবে বলে মনে কর তা ততটুকু নয়। যদি তুমি ইতোমধ্যে ধূমপানে অভ্যস্ত হয়ে থাক তাহলে তোমার তা বন্ধ করা উচিত। এটা মোটেই কষ্টকর নয়। এর জন্য প্রয়োজন কিছু ইচ্ছাশক্তি। এখনি চেষ্টা করো।