খোলার পর করোনার সংক্রমণ বাড়লে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আবার বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। শনিবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকালে জামালপুর সার্কিট হাউসে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি। পরে জামালপুর পৌর আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে যোগ দেন শিক্ষামন্ত্রী।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে পাঠদান চললে করোনার সংক্রমণ বাড়ার সম্ভাবনা কম। এরপরও যদি সংক্রমণ বেড়ে যায় তাহলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আবার বন্ধ করে দেওয়া হবে। দীর্ঘ ১৭ মাস পর রবিবার থেকে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা হচ্ছে। দীর্ঘদিন শ্রেণিকক্ষে পাঠদান বন্ধ থাকলেও পড়াশোনা বন্ধ ছিল না। টেলিভিশন ও অনলাইনের মাধ্যমে চলেছে পড়াশোনা। কোনও শিক্ষার্থী কিংবা তার পরিবারের কেউ করোনায় আক্রান্ত হলে কিংবা উপসর্গ দেখা দিলে বিদ্যালয়ে আসতে হবে না।
তিনি আরও বলেন, বিশ্বের অনেক দেশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় আবার বন্ধ করেছে। আমরাও শিক্ষক-শিক্ষার্থীর স্বাস্থ্যের কথা চিন্তা করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেবো। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার নীতিমালা করা হয়েছে এবং সেটি স্থানীয় ও কেন্দ্রীয়ভাবে মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা হয়েছে। যদি কোনও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সেটি না মানে, অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কারণ কোনোভাবেই শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যের বিষয়টি আমরা অবহেলা করতে পারি না।
মন্ত্রী বলেন, দেশে অনেক শিক্ষার্থী ঝরে পড়েছে এমন কথা অনেকে বলছেন। কিন্তু আমরা যখন অ্যাসাইনমেন্ট দিয়েছি, তখন দেখেছি ৯৩ শতাংশ শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছে। যেভাবে আশঙ্কা করা হচ্ছে শিক্ষার্থী ঝরে পড়েছে, সেটি সত্য নয়। যখন সবাই শ্রেণিকক্ষে ফিরবে, যারা আসবে না তাদের পারিবারিকভাবে খোঁজ নেবো, নিশ্চিত হবো কেন তারা আসছে না। তারপর জানতে পারবো আসলেই শিক্ষার্থী ঝরে পড়েছে কিনা, সেক্ষেত্রে নিশ্চিত হওয়া যাবে কতজন শিক্ষার্থী ঝরে পড়েছে।
এ সময় মন্ত্রীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান, ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মতিয়া চৌধুরী এমপি ও সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম এমপি প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, গত বছরের মার্চে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। প্রায় দেড় বছর পর রবিবার থেকে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলছে।