মানুষ আশরাফুল মাখলুকাত বা সৃষ্টির সেরা। তার নামও সেরা, পূর্ণ অর্থবোধক এবং সুন্দর হওয়া চাই। নাবী (সাঃ) সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার সপ্তম দিবসে ভাল নাম রাখতে ও ‘আকীক্বাহ করতে আদেশ করেছেন। এ হাদীস দ্বারা স্পষ্ট প্রতীয়মান হয় যে, প্রতিটি সন্তানের ‘আকীক্বাহ দেয়া ও তাদের ভাল নাম রাখা অভিভাবকের বিশেষ দায়িত্ব। কিন্তু দুঃখের বিষয় এই যে, তথাকথিত আধুনিকতার অশুভ সয়লাবে এবং ইসলাম বিবর্জিত পাশ্চাত্য শিক্ষা ও সভ্যতার প্রভাবে বর্তমান যামানায় মুসলিমগণের মন মানসিকতা এমন অধঃপতন হয়েছে যে, যেন তাদের মুসলমানী স্বাতন্ত্ৰবোধ বিলুপ্ত হয়ে গেছে।
মুসলিমদের পরিচিতির নিদর্শন অর্থাৎ সন্তানের নামকরণে তারা নিজেদের ধর্মীয় বৈশিষ্ট বজায় রাখার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে না। মুসলিমগণ নিজেদের ছেলে-মেয়েদের নাম রাখার ব্যাপারেও আজ চরম বিভ্ৰান্তির শিকার। মনে হয় তারা যেন ইসলামী সুন্দর নাম খুঁজেও পান না।
আর ধর্মীয় বই-পুস্তক ও আলোচনায় অনেক ইসলামী শব্দ ব্যবহৃত হয় যেগুলোর অধিকাংশ অর্থ অনেকেই অজানা। এজন্য সাধারণ মানুষ অনেক কিছুই বুঝতে ব্যর্থ হচ্ছে। এ অবস্থার প্রতি লক্ষ্য রেখে তরুণ উদ্যোমী হাফিয মুহাম্মাদ আইয়ুব সাহেব ‘শিশুদের আদর্শ নাম, ‘আকীক্বাহ ও বাংলায় প্রচলিত ইসলামীশব্দাৰ্থ’ নামক বইটি অনেক পরিশ্রম ও সাধনার পর লিপিবদ্ধ করা সমাজে প্রচার ও প্রকাশ করেছেন।