আপনি জানেন কি পৃথবীতে সব থেকে রক্তাক্ত বর্ডার হলো বাংলাদেশ ভারত বর্ডার। এমনকি ফিলিস্তিনি ইসরায়েলের বর্ডারের পরের স্থানটিই পেয়েছে বাংলাদেশ ভারত বর্ডার।
১৯৭১ এর কথিত বন্ধু ভারতের গুলিতে নিহত বাংলাদেশীর সংখ্যা ১৫ হাজারের কাছাকাছি। এর ওপরে শুধু আছে ফিলিস্তিন ইসরায়েল বর্ডার।
বাংলাদেশ ব্যতিত এ রকম একটা স্বাধীন দেশের মানুষ অন্য একটি দেশের রষ্ট্রীয় মদদে হত্যার নজীর পৃথিবীর অন্য কোথাও নেই।
কোনো ধরণের আন্তর্জাতিক আঈন এবং মানবাধিকারের তোয়াক্কা না করে বাংলাদেশ বর্ডারকে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ এবং যুদ্ধবিহীন রক্তাক্ত বর্ডারের মর্যাদা দিয়েছে বিএসএফ।
ভারতীয় মিডিয়া কর্তৃক নিজেদের যতই নিরীহ দেখানো হোক না কেনো তারা সর্বদাই আগ্রাসী আচরণ করে। চীন-পাক সীমান্তের সীমান্ত রক্ষী বাহিনীগুলো আত্মরক্ষা এবং কঠোর জবাবের কারনে ভারতীয় মিডিয়া তাদের আগ্রাসী হিসেবে দেখানোর চেষ্টা করে থাকে। অথচ যতগুলো যুদ্ধ হয়েছে কারগিল আর ১৯৭১ বাদে আর সব গুলো যুদ্ধে ভারতীয় বিএসএফ প্রতিবেশি নাগরিকদের এভাবে হত্যা করেছে।
রাষ্ট্রীয় বিএসএফ এর এরকম কাপুরুষিত কাজে জন্য ভারতকে অনেক সৈনিকের জীবন এবং আকসাই চীনের মত বৃহৎ জায়গা ছেড়ে দিতে হয়েছে।
পৃথিবীতে একমাত্র বাংলাদেশ ভারত বর্ডারেই কথিত চরম মিত্রের আর্মড ফোর্স দ্বারা নিজ নাগরিক হত্যাকে ঐতিহ্য হিসেবে মেনে নেওয়া হয়েছে।
এবং নাগরিক হত্যার দুদিন পর পতাকা এবং মিষ্টি নিয়ে গলিত নাগরিকের লাশ আনার মত বিরল ঘটনাও এরকম দেশে প্রথম।
আপনারা শুনে অবাক হবেন যে পাকিস্তান ভারত বর্ডারেও যুদ্ধবিহীন এর ১০ ভাগের একভাগও সিভিয়ান হত্যার নজির নাই।
কিন্তু ফিলিস্তিনিরা পাথর দিয়ে নিজেদের রক্ষা করে শিরোনামে আসে আর বাংলাদেশ পতাকা বৈঠক করে লাশ নিয়ে পরের দিন মিষ্টি দিয়ে আসে।
চিত্রঃ ফেলানির লাশ